top of page
Love
Poverty
Poem 1

Md. Hasanuzzaman

Md. Hasanuzzaman

When the ocean becomes quite,

birds gonna chirping,

the sky becomes calm,

hearts gonna bumping,

It's called love.

When the trees become green,

winds gonna blowing,

Relatives sympathy

is raising and flowing,

It's called love.

When the doctor reduces

medicines dose,

someone of me

give me a rose,

It's called love.

When a boy or girl,

younger or elder.

make a relation,

sister and brother,

It's called love.

When there's  no difference,

poor or rich,

working together,

is everyone's wish

It's called love.

Some people want but can't eat,

Fish, rice, egg, bread or meat.

Their lives become vulnerable,

For doing jobs they are unable.

Misery is bestowed in their lives,

Relatives, children and their wives.

Economic disaster makes them weak,

They can't bring doctors when they become sick.

Education is not written in their fate,

Seeing them rich people always hate.

Their living places are always dirty,

Sadly we can call it poverty.

ব্রহ্মপুত্রের মাঝি
ভালবাসার সেকাল একাল
Poem 2

Md. Hasanuzzaman

Md. Hasanuzzaman

দিন কতক আগে,

গ্রামের বাড়ির নদীর ধারে, যাবার সখ জাগে।

অবশেষ গেলাম আমার চিরচেনা, নদ ব্রহ্মপুত্র,

যার সাথে এসে মিশেছে, হাজার নদীর সূত্র।।

***********

*************

নদীতীরে এক নৌকায় উঠে, ঘুরছি আনন্দে আমি,

আমার কাছে এ নদের মূল্য, অনেক বেশী দামি।

সাতার জানি না -নৌকায় তাই, বুক কাঁপে দুরুদুরু,

মাঝি চাচা বুঝতে পেরে ,গল্প করেন শুরু।

"বুঝলে বাছা- এ নদ হল ,চরম সর্বনাশা,

কত মানুষের ভাঙ্গল বাড়ি, করল শেষ আশা।

ভিটে -মাটি জমি -জিরাত, করল সব শেষ,

অনেক মানুষ এখান ছেড়ে, পাড়ি জমাল বিদেশ"।

বলি আমি -"কিন্ত চাচা ,এ কেমনে হয়,

বোল্ডার দেবার পরেও কেমনে ,হচ্ছে নদ ক্ষয়"।।

***********

************

এ কথা শুনে চাচা বলেন ,খানিক তব হেসে,

"শোন তবে"- শুরু করেন, গলাখানা কেশে।

"আগে নদখানা ছিল দূরে, ছিল অতি শান্ত,

মানুষ- জন করল বাড়ি, এসে দূর দুরান্ত।

কিছুদিন গেল, হাসিখুশি- আনন্দ অফুরন্ত,

হঠা‌ৎ একদিন! সবাই ছোটে, হয়ে হন্তদন্ত।

দেখি -শুধুই ভাঙ্গছে মাটি, বাড়ছে নদের পানি,

করাল শাপের ছোবল দিয়ে, ডুবছে ঘরের কানি।

প্রাণ বাচাতে ছোটে সবাই, ছিলাম

যেথায় যে,

অমন সময় কে খোঁজ রাখে, কোথায় আছে কে।

তারপরে বাছা-থামল এ নদ, স্থবিরতা হল জারি,

কিন্ত সবাই নদের পাড়ে, করল আবার বাড়ি"।।

*************

***************

"কিছুদিন গেল সবকিছু ফের, হল আগের মত ,

সমৃদ্ধ হল সব গ্রামবাসী, সবে হারিয়েছিল যত।

কিন্ত আবার পিলে চমকে, হল শুরু ভাঙ্গা,

যেথায় বাড়ি সেথায় নদের, পানি উঠল ডাঙ্গা।

সবার বাড়ি সম্পদ সব ,ভেঙ্গে হল খানখান,

কেঁদে সবাই বুক চাপড়িয়ে, যেথায় পারে যান।

কিন্ত সবাই ভীড় জমাল, ফের নদীতীরে,

আশার আলো সব গেল ,নদের পানিতে ঘিরে।"

সবাই বলে-" হে সর্বনাশা নদ !ভাঙ্গিস নারে তুই,

আর কাঁদাস না আমাদের, ডুবাস নারে ভূঁই"।।

***********

*************

"কিন্ত এ নদ অতি অভাগি, শোনে কি কারো কথা ,

আরো কতবার ভাঙ্গল এ নদ, ডুবাল বাড়ি তথা।

শুনেছি নদীর এ কূল ভাঙ্গে, ও কূল গড়ে এইত নদীর খেলা,

আমার দেখায় ব্রহ্মপুত্র, ভাঙ্গে সারাবেলা।

ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে করল সব ,ছিন্ন বিচ্ছিন্ন,

পথে বসাল সবাইরে ,জাত ধর্ম অভিন্ন"।

কাঁপন এল নদীতীরের পূর্বপুরুষ, করেছে এত কষ্ট,

ব্রহ্মপুত্রের এত সময়ের ,ভাঙ্গনে তা স্পষ্ট।

বলি -চাচা!" নদের ভাঙ্গন, যদি হয় জারি,

কেন তবে সবাই করে, নদের পাড়ে বাড়ি"।

********

**********

চাচার উক্তি- "বাছা! এ দিক অবহেলিত,

এ দিকে উদ্যোগ নেই, করার শিক্ষিত।

সব দিকে সবাই করে, নদীর পাড়কে হেলা,

এভাবেই দিন কাটে এ দিকের, মানুষের সারাবেলা।

কিন্ত বাংলাদেশ নদীমাতৃক ,এ কথা যেমন সত্য ,

তেমনি ভুল না নদী হল, আমাদের আভিজাত্য।

মুখে শুধুই বলে সবে, ভাতে মাছে বাঙ্গালী,

তবে কেন জেলে মাঝি, ভাতের কাঙ্গালী।

একমুঠো ভাত পেতে তাদের, হয় দিনাতিপাত,

তবু তাদের ভাগ্যে জোটেনা ,ডাল মাছ আর ভাত।।

**********

***********

বলি -"চাচা !এত লাঞ্জনা- অবহেলা, কেন তবে রও হেথা,

অন্য পেশায় গিয়ে দূর কর, জীবিকার কষ্ট ব্যথা।

নদীপাড়ের এত কষ্ট, তবু মাঝি হয়ে রও,

একটু খাদ্যের জন্য, এত দুঃখ সও"।

দীর্ঘশ্বাসে চাচা বলেন-" যদি না থাকি বাবা,

এ নদীর ওপাড়ে তোমরা, কেন করে যাবা।

নদীর সাথে মিশে আছে, মোর চরম বন্ধুত্ত্ব ,

মাঝি হিসেবে পাড় করা, সে যে আমার দায়িত্ব।

জন্ম অব্দি পড়ে আছি হেথা, মাঝিগিরি করে চলি,

তোমার মতন মানুষ পেলে ,জীবনের কথা বলি।

দেখছি শত বোল্ডার ফেলে ,বাঁধছে নদী সরকার,

এ নদীর দিকে দৃষ্টি দেয়া, সকলের দরকার।

এ যে হল ,বাংলার নদ সবচেয়ে বড়,

তাই এর তীর ভাঙ্গে ,শুধুই পানি হচ্ছে জড়।

কিন্ত আমি যাব না, কভু অন্যখানে,

মৃত্যু অব্দি মাঝিগিরি করে, রইব এখানে।

এ নদে মোর মিশে আছে, কর্তব্যভরা জীবন ,

এখানেই হারিয়েছি, সকল আত্মীয় স্বজন।

শক্ত হাতে চালাব নৌকা, ধরে বৈঠা হাল,

মাঝ নদীতে তুলে দিব, দরিয়ার ভরা পাল।

নৈতিকতায় মাঝিগিরি করে, রইব চিরকাল,

সবাইকে বলব নদীর গল্প, হোক দেশ ডিজিটাল"।।

*********

**********

"শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে বলি, চাচা এসেছে গন্তব্য,

যাবার আগে তোমার তরে ,করব একটিই মন্তব্য।

দেখুক সবাই দেশপ্রেম, আর নিষ্ঠা কী আজি,

তুমি হলে মহান মানুষ, ব্রহ্মপুত্রের মাঝি"।।

ষাটোর্ধ মোর দাদুর কাছে, প্রশ্ন করলাম জারি,

কেমন ছিল তোমার যুগের, ভালবাসা -আড়ি।

দাদু বলে -সেসব শুনতে, রেকর্ড কর ফোন,

ডাক তোর সব খালাতো- ফুফাতো, ভাই আর বোন।

সবে মিলে তাই গোল হয়ে বসে, খানিক তাকাই হেসে,

দাদু যেন তার পুরোতন স্মৃতি, রোমন্থন করে কেশে।

শোন তোরা বাছা বুঝিসনা, খাঁটি ভালবাসার মর্ম,

আমার যুগের ভালবাসায়, মানতে হত ধর্ম।

সে যুগে প্রেমিকাকে, মানাতে হতো না জ্বালা,

ভালবাসা ছিল তখন শুধু, বিনে সুতোর মালা।

কখনো যদি কোন কারনে, হয়ে যেত কোন ভুল,

পেছন থেকে খোপায় তার, দিতাম বকুল ফুল।

তাতেই সে খুশী হয়ে ,ভুলত অভিমান,

বলত -হইছে এখন,এখান হতে যান।

হাসিমাখা মুখ দেখতে যেন, ফোটা সদ্য ফুল,

কান ধরে বলতাম আর, কখনো হবে না ভুল।।

তোদের যুগের প্রেমিকাদের ,মন মানানো দায়,

একদিন তো চাইনিজ, একদিন কফিশপে যেতে চায়।

প্রেমিক যতই খরচ করে ,ধরে শুধু বায়না,

আজ কিনে দাও কসমেটিকস, আরেকদিন দাও গয়না।

বেচারা প্রেমিক এমন করে, শেষ করে সব টাকা,

পকেট তার দুদিনেই ,হয়ে যায় ফাঁকা।

বাবা আর পড়াশোনার ,বেড়ে যায় চাপ,

দুদিন পরেই সুবোধ বালক ,কেঁদে চায় ব্রেকাপ।

আরে বাবা আগে তোরা ,পড়াশুনা কর,

তার পর কোথাও ভর্তি হয়ে, এসব চিন্তা কর।

মেয়েদের পিছে এত খরচ, যদি করিস টাকা,

ভাববে তুই হয়ে গেছিস, তার হাতের খোকা।।

রেগে আমার ১৬ বছরের, খালাত বোন বলে,

এভাবে দাদু মেয়েদের শুধু, অপমান করা কি চলে।

ছেলেরা বুঝি সাধু মানুষ, নম্র- ভদ্র অতি,

মেয়েরা বুঝি- তাদেরই সাথে, করে শুধু ক্ষতি।

খানিক হেসে বলেন দাদু ,শোন দাদুমণি,

মেয়েরা হল -স্বর্ণ ,হীরা, রৌপ্য মুদ্রার খণি।

তাইত তাদের সাজাতে লাগে, অনেক অলংকার,

এর কারনে গিফট চায়, নেকলেস আর হার।

থাক এসব ফিরে চল, আমার সেই সময়,

ভালবাসার বাছ বিছার, করতে আবার হয় ।

আমার যুগে ভালবাসায় ,বয়স হত মানা,

১৮ বছরের কম কারো ,এসব ছিল না জানা।

তোরা হলি ইচড়ে পাকা ,পড় আগে আইএ,

১০ বছরের ছেলেও যেন, করতে চায় বিয়ে।

আমার যুগের ছেলেরা ভালবাসার, করত সম্মান,

তোদের মত টাইম পাস করে ,করত না অপমান।

তোরা ছেলেরা বড্ড পাজি, মস্ত শয়তান,

আজ এ তো কাল ও ,যখন যাকে পান।

মেয়েদের মন ভাংতে তোদের, হয়না একটু দেরী,

একটু সন্দেহ হলে বলিস তোরা, ভালবাসায় আড়ি।

কেন তোদের মনে রে ভাই, এত কুয়াশা,

এমন করে হয়না কভু ,খাঁটি ভালবাসা।।

অবশেষে দাড়িয়ে আমি, বলি -দাদু শোন,

তুমি শুধু তোমার যুগের ,ভাল দিকই গোন।

তোমার সময় হত ভালবাসার ,করুণ পরিণতি,

এ কথা না বললে ,হবে বড় ক্ষতি।

সমাজ তোমার মানত না, ছেলে মেয়ের মত,

জোড় করে চাপানো হত, পিতার অভিমত।

এ যুগে বাবা মা ,সন্তানের ভাল বোঝে,

তাই তারা তাদের সন্তানের, পছন্দ টাও খোজে।

তোমার যুগের মেয়েদের, বয়স হত বিশ,

দেয়া হত বিয়ে তাদের, বুড়ো বয়স চল্লিশ।

আজীবন তারা পিষ্ট হত, নিয়মের যাঁতাকলে,

হাজার বছর এভাবে তাদের, জীবনখানা চলে।

এমন ভালবাসার কি ,আছে বল মূল্য,

স্বামী শুধু যৌতুকের তরে ,স্ত্রীকে করে তাচ্ছিল্য।

জীবন হল নৌকা ,যার আছে পালতোলা,

সবার দরকার স্বাধীনতা,মুক্ত আর খোলা।।

সব শুনে দাদু মোর ,হলেন খানিক চুপ,

ঠিক বলেছিস এ নয়কো, ভালবাসার রুপ।

এ হলো ভালবাসার, সেকাল আর এ কাল,

দুয়ে মিলে করতে হবে, সমন্বয় একতাল।

ভালবাসায় দেয়া যাবে না, কারো মনে কষ্ট,

তবেই তার পরিনতি, ভাল হবেই স্পষ্ট।

খাটি মনে এক প্রানে, ভালবাসা হলে ,

কোন সমস্যা রবেনা ,সেকাল- একালে।।

Page 1 2

bottom of page